‘নামে যার কেঁপে ওঠে’ কবিতার বইটি ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়।তাঁর ‘নামে যার কেঁপে ওঠে’ কবিতার বইয়ের নাম-কবিতাটি পড়ে শিল্পী-কবি কাইয়ুম চৌধুরী প্রচ্ছদে মাটি রং ব্যাকগ্রাউন্ডে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই তর্জনীর ছবি এঁকেছিলেন। শিল্পী বঙ্গবন্ধুর তর্জনী উত্তোলনে শক্তি সঞ্চয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি টকটকে লাল দিয়ে চিহ্নিত করেন। আর কালো রঙে দেখান জনস্রোত-তরঙ্গ। এভাবেই এ-প্রচ্ছদ সম্পর্কে কাইয়ুম চৌধুরী বলেছিলেন।
নামে যার কেঁপে ওঠে
(প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুন্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে)
ফজল–এ–খোদা
নামে যার বিশ্ব কেঁপে ওঠে
থর থর ক‘রে কাঁপতে থাকে সূর্য নক্ষত্র
অ্যাটম হাইড্রোজেন,
দুলতে থাকে সাগর মহাসাগর
দুর্গম অরণ্য এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ
ফেটে চৌচির হয় অগ্নিগর্ভ গোবি সাহারা
থমকে যায় ঝড় জলোচ্ছাস সাইক্লোন বিদ্যুৎ বজ্র,
পরাজয় স্বীকার করে তৈমুর হালাকু চেঙ্গিস কুবলাই
বশ্যতায় নতজানু স্বঘোষিত ফেরাউন স্ফিংসরা…
নামে যার তারুণ্য দুর্বিনীত
যৌবন সর্বজয়ী
বিদ্রোহ আজন্ম, আমৃত্যু
সংগ্রাম তীব্র হয় তীব্রতর
বিপ্লব পতাকা হয় কৃষক–শ্রমিক–
বন্দি–ক্রীতদাস–বঞ্চিতেরা;
সাম্যবাদ গান গায় সামন্তের ঘরে
দাঁড়ায় অ্যাটেনশান সামরিক বাহিনী,
বাজায় বিউগল বিজয়ের ধ্বনি…
নামে যার তরবারি উলঙ্গ হয়
সাহস দুঃসাহস হয়ে যায়
বন্দুক তুলে নেয় নিরস্ত্র জনতা
রক্ত উত্তপ্ত হয় তৈরি বিস্ফোরক
মুক্তিযোদ্ধা হয় শিশু বৃদ্ধ নারী,
স্বাধীন স্লোগান তোলে দুনিয়ার মজদুর–
নামে যার সিংহাসন ভেঙে পড়ে
রাজা হয় চূর্ণ বিচূর্ণ
নামে যার ধ্বনি দেয় শোষিত মানুষ।
রচনাকাল: ১৯৮৮